একজন মানুষ যখন পঙ্কিল জীবনের আঁধার পেরিয়ে আলো খুঁজতে চায়, তখন তার পথের গল্প হয়ে ওঠে নাটক। এমনই এক গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে বিবেকানন্দ থিয়েটারের ২৩ তম প্রযোজনা—‘উত্তরণ’। নাটকটি রচনা করেছেন অপূর্ব কুমার কুণ্ডু এবং নির্দেশনার পাশাপাশি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শুভাশীষ দত্ত তন্ময়।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আগামী ২৩ আগস্ট, শনিবার সন্ধ্যা ৭:১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির ৩৪ তম প্রদর্শনী।
নাটকের গল্প;
‘উত্তরণ’ এক মানুষের লড়াইয়ের গল্প—যে তার পথভ্রষ্ট জীবনের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে চায়, আলোর পথে যাত্রা করতে চায়। কিন্তু সমাজের অভিসম্পাত, ভিড়ের ঠেলাঠেলির মাঝে, সে কি শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে পারে? কেউ কি হয় তার পথপ্রদর্শক? উত্তরণদের জীবনে কি সত্যিই আসে মুক্তির আলো—এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার যাত্রাই হলো এই নাটকের মূল সুর।
নির্দেশক ও নাট্যকারের ভাবনা;
নির্দেশক শুভাশীষ দত্ত তন্ময় বলেন, “দলগত অভিনয় উপযোগী একটি নাটকের চাহিদা ছিল। নাট্যকার আমাদের সেই চাহিদার সম্মান রেখেছেন। অভিনয়, নির্দেশনা এবং মঞ্চ বিন্যাসে আমরা দর্শকের সামনে এক জীবন্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে কাজ করছি। ৩৩ তম প্রদর্শনী পর্যন্ত যে ভালোবাসা পেয়েছি, ৩৪ তম মঞ্চায়ন সেই ধারাবাহিকতারই উদযাপন।”
নাট্যকার অপূর্ব কুমার কুণ্ডু যোগ করেন, “অন্ধকার পেরিয়ে আলোর অপেক্ষা—এই চিরন্তন মানবিক আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন ‘উত্তরণ’। এটি অনেকটা সেই বৃক্ষের মতো, যার শিকড় অন্ধকার মাটিতে হলেও ডালপালা আলোয় ফুলে ফলে ভরে ওঠে। নাটকটি দর্শকদের কাছে শুধু বিনোদন নয়, জ্ঞান ও বোধেরও উৎস হবে বলে আশা করি।”
মঞ্চের পেছনের কারিগরি প্রয়াস;
মঞ্চ নির্মাণে কাজ করেছেন ফজলে রাব্বি সুকর্ণ, আলোয় পলাশ হেনড্রী সেন, মিউজিক ও পোস্টার করেছেন হামিদুর রহমান পাপ্পু। পোশাক ও রূপসজ্জা করেছেন নির্দেশক শুভাশীষ দত্ত তন্ময় নিজেই।
অভিনয়শিল্পী দল;
অভিনয়ে রয়েছেন—শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, শান্তনু সাহা, রাজীব দেব অমিত, সুধাংশু নাথ, মোস্তফা কামাল মুরাদ, রিমন সাহা, অভয় সাহা, প্লাবন আহমেদ, মো: সাজ্জাদ, শফিকুল ইসলাম এবং আরও অনেকে।
৩৪ তম প্রদর্শনীতে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এক ঘণ্টার এক অনন্য যাত্রা—অন্ধকার থেকে আলোর পথে, জীবনের নতুন উত্তরণে।