রাজধানীর শাহআলীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের অফিসে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নামধারী একদল সন্ত্রাসী।
১৫ এপ্রিল রাত ১০:৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক যুবদল নেতা, তাণ্ডব চালানো হয় অফিসের সামনের সড়কে।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, হামলায় অংশ নেয় কমপক্ষে ১৫-২০ জন। তাদের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, চাপাতি, রামদা, এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেলও। ঘটনার পর পরই মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহআলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে ডিবি মিরপুর বিভাগ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন: শান্ত ইসলাম (ছাত্রলীগ নেতা),সিজয় আহমেদ ওরফে রমজান আলি মো.আলম (যুবলীগ নেতা),রবিউল ইসলাম রুবেল ওরফে ডুক্কু রুবেল (কিশোর গ্যাং লিডার), মো. ইয়াকুব আলী, মো. আমিনুল ইসলাম,মো. সোহেল,গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বাদী জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সূত্রপাত ১৪ এপ্রিল শরিফ নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করা নিয়ে বাগবিতণ্ডা থেকে। ১৫ এপ্রিল রাতে সাজ্জাদুল মিরাজের অফিসে হামলাকারীরা জোরপূর্বক জহিরুলকে তুলে নিতে গেলে ব্যর্থ হয়। এরপর তারা দলবদ্ধভাবে রাস্তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। রবিউল ইসলাম রুবেল বাদীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। রফিকুল ইসলাম মনির হোসেনকে কোপ মেরে বাম হাতের কনুইয়ে গুরুতর জখম করে। ইয়াকুব চাপাতি দিয়ে বিল্লাল হোসেনকে কানের পিছনে ও বাহুতে কোপায়। রুবেল আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। হামলার সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা পালিয়ে যায়।
ডিবি মিরপুর বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাকি হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।