
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিওরদাহ গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মুর্শিদা আক্তার রেনুকা (২৯) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। আদালতে মামলা করায় এখন তিনি ও তার পরিবার পড়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। প্রতিনিয়ত চলছে খুন, আগুন ও মিথ্যা মামলার হুমকি।
গত ১৩ মার্চ বিকেলে মুর্শিদা আক্তার রেনুকাকে তার নিজ গ্রামের বাসভবনের পাশে প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা করে কয়েকজন সন্ত্রাসী। স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর দাবি অনুযায়ী, এ হামলার পেছনে আমেরিকা প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের নির্দেশ রয়েছে। হামলায় অংশগ্রহণ করে লিয়াকত আলী মধুর ছেলে আজিজুর রহমান রিপন, তার ছেলে ইমরান হোসেন, মেছের সরদারের ছেলে মিন্টু মিয়া সহ আরও ৪-৫ জন।
পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর মুর্শিদা আক্তার আদালতের নির্দেশে ঝিকরগাছা থানায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন (জিআর মামলা নম্বর-৪৬/২৫, তারিখ ২৭/০৩/২০২৫)। তবে মামলা দায়েরের পর থেকেই শুরু হয় নতুন করে ভয়াবহ হুমকি-ধামকি।
গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত হয়ে রেনুকার বাড়িতে গিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। তাকে এবং তার স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের খুন-জখম, বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়।
জনমনে প্রশ্ন: কার কাছে নিরাপত্তা পাবেন সাধারণ মানুষ?
মুর্শিদা আক্তার বলেন, “আমি ও আমার পরিবার এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। কখন কী হয় বলা যাচ্ছে না। হুমকিদাতারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।”
দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি: স্থানীয়রা বলছেন, এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে আরও সাধারণ মানুষ জমি নিয়ে সংঘর্ষে পড়বে এবং ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
বাংলঅদেশ সকাল/ ইস