০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও আইনগত ব্যবস্থার আহ্বান। ‎

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ২০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মোঃ তারেক আহমেদের লিখিত প্রতিবাদ বিবৃতি:
‎‎খুলনা, ১২ জুলাই ২০২৫ — সম্প্রতি শাহ হাবিবুর রহমান হাবিব নামক এক ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনের আড়ালে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অসত্য, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য ছড়িয়েছেন। এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি, মোঃ তারেক আহমেদ, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।

‎পূর্ব পরিকল্পিত চাঁদাবাজি ও হুমকি:

‎প্রকাশিত ভিডিওচিত্রটি হঠাৎ করে নয়—এর নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা এক চাঁদাবাজি ও প্রতারণার পরিকল্পনা। উক্ত ব্যক্তি পূর্বে আমাদের পরিবারের উপর গোপনে আর্থিক চাপ প্রয়োগ করেন এবং হুমকি দেন যে, তার দাবি অনুযায়ী টাকা না দিলে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি ‘ভিডিও নাটক’ বানিয়ে তা প্রচার করবেন। আমরা তার এই অন্যায় দাবি মেনে না নেওয়ায়, তিনি তার হুমকির বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।

‎ মিথ্যা পরিচয়ের আশ্রয় ও জমি জালিয়াতির অভিযোগ:

‎উল্লেখ্য, শাহ হাবিবুর রহমান হাবিব আমাদের পরিবারের কেউ নন। তিনি একসময় আমাদের বাড়ির একজন গৃহকর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা পরিচয়ে নিজেকে মরহুম মিয়া ইসমাইল হোসেনের সন্তান দাবি করছেন, যা জালিয়াতি ও প্রতারণার শামিল।

‎আমার দাদা মরহুম মিয়া ইসমাইল হোসেনের প্রকৃত সন্তান মিয়া বাবর হোসেন বহু আগেই তার পারিবারিক অংশ থেকে সরে গিয়ে নিজের স্বার্থে তা লিখিতভাবে আপন ভাই মিয়া আমির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। বর্তমানে মিয়া আমির হোসেনের পরিবার বৈধ কাগজপত্র, নামজারি, খাজনা এবং সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তির একমাত্র মালিক।

‎ প্রতারকচক্র ও জাল দলিলের ভয়াবহ চিত্র:

‎শাহ হাবিবুর রহমান হাবিব ও বাবর হোসেন, এই দুই ব্যক্তি বহুদিন ধরে প্রতারণার এক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। বাবর হোসেন অতীতে নিজের ফুপুকে “মা” পরিচয় দিয়ে শত বিঘা জমি নিজের নামে লিখিয়ে নেন। এরপর খুলনার তেতুলতলা এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমি বিক্রি করে ঢাকায় পালিয়ে যান।

‎তিনি শুধু আত্মীয়স্বজনদের সম্পত্তি আত্মসাৎই করেননি, বরং যেসব জমি পূর্বে বিক্রি করেছেন সেগুলো আবার নতুন করে নিজের বলে দাবি করতে শুরু করেছেন। কমিশন আদায়ের নামে স্থানীয়ভাবে ‘ভাইসাব বলছে’ বলে আর্থিক প্রতারণাও করে চলেছেন।

‎তার বিরুদ্ধে জমি আত্মসাৎ, দলিল বিকৃতি, সংবাদপত্রের মালিকানা প্রতারণাসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।

‎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান:

‎এই অপপ্রচার, চাঁদাবাজি ও জালিয়াতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আমি কেশবপুর থানা, খুলনা জেলা প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

‎ গণমাধ্যম ও জনসাধারণের প্রতি আহ্বান:

‎আমার অনুরোধ—গণমাধ্যম এবং সাধারণ জনগণ যেন যাচাই-বাছাই না করে কোনো বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা বা মানহানিকর তথ্য প্রচার বা বিশ্বাস না করেন। আমরা সবসময় সত্য, ন্যায় ও নৈতিকতার পক্ষে আছি এবং থাকব—ইনশাআল্লাহ।

‎প্রতিবাদকারী
‎মোঃ তারেক আহমেদ
‎ঠিকানা: ইব্রাহিম মিয়া রোড, বাবরি চত্বর, সোনাডাঙ্গা, খুলনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাবধানে সড়কে চলি

ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও আইনগত ব্যবস্থার আহ্বান। ‎

Update Time : ১১:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মোঃ তারেক আহমেদের লিখিত প্রতিবাদ বিবৃতি:
‎‎খুলনা, ১২ জুলাই ২০২৫ — সম্প্রতি শাহ হাবিবুর রহমান হাবিব নামক এক ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনের আড়ালে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অসত্য, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য ছড়িয়েছেন। এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি, মোঃ তারেক আহমেদ, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।

‎পূর্ব পরিকল্পিত চাঁদাবাজি ও হুমকি:

‎প্রকাশিত ভিডিওচিত্রটি হঠাৎ করে নয়—এর নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা এক চাঁদাবাজি ও প্রতারণার পরিকল্পনা। উক্ত ব্যক্তি পূর্বে আমাদের পরিবারের উপর গোপনে আর্থিক চাপ প্রয়োগ করেন এবং হুমকি দেন যে, তার দাবি অনুযায়ী টাকা না দিলে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি ‘ভিডিও নাটক’ বানিয়ে তা প্রচার করবেন। আমরা তার এই অন্যায় দাবি মেনে না নেওয়ায়, তিনি তার হুমকির বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।

‎ মিথ্যা পরিচয়ের আশ্রয় ও জমি জালিয়াতির অভিযোগ:

‎উল্লেখ্য, শাহ হাবিবুর রহমান হাবিব আমাদের পরিবারের কেউ নন। তিনি একসময় আমাদের বাড়ির একজন গৃহকর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা পরিচয়ে নিজেকে মরহুম মিয়া ইসমাইল হোসেনের সন্তান দাবি করছেন, যা জালিয়াতি ও প্রতারণার শামিল।

‎আমার দাদা মরহুম মিয়া ইসমাইল হোসেনের প্রকৃত সন্তান মিয়া বাবর হোসেন বহু আগেই তার পারিবারিক অংশ থেকে সরে গিয়ে নিজের স্বার্থে তা লিখিতভাবে আপন ভাই মিয়া আমির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। বর্তমানে মিয়া আমির হোসেনের পরিবার বৈধ কাগজপত্র, নামজারি, খাজনা এবং সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তির একমাত্র মালিক।

‎ প্রতারকচক্র ও জাল দলিলের ভয়াবহ চিত্র:

‎শাহ হাবিবুর রহমান হাবিব ও বাবর হোসেন, এই দুই ব্যক্তি বহুদিন ধরে প্রতারণার এক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। বাবর হোসেন অতীতে নিজের ফুপুকে “মা” পরিচয় দিয়ে শত বিঘা জমি নিজের নামে লিখিয়ে নেন। এরপর খুলনার তেতুলতলা এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমি বিক্রি করে ঢাকায় পালিয়ে যান।

‎তিনি শুধু আত্মীয়স্বজনদের সম্পত্তি আত্মসাৎই করেননি, বরং যেসব জমি পূর্বে বিক্রি করেছেন সেগুলো আবার নতুন করে নিজের বলে দাবি করতে শুরু করেছেন। কমিশন আদায়ের নামে স্থানীয়ভাবে ‘ভাইসাব বলছে’ বলে আর্থিক প্রতারণাও করে চলেছেন।

‎তার বিরুদ্ধে জমি আত্মসাৎ, দলিল বিকৃতি, সংবাদপত্রের মালিকানা প্রতারণাসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।

‎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান:

‎এই অপপ্রচার, চাঁদাবাজি ও জালিয়াতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আমি কেশবপুর থানা, খুলনা জেলা প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

‎ গণমাধ্যম ও জনসাধারণের প্রতি আহ্বান:

‎আমার অনুরোধ—গণমাধ্যম এবং সাধারণ জনগণ যেন যাচাই-বাছাই না করে কোনো বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা বা মানহানিকর তথ্য প্রচার বা বিশ্বাস না করেন। আমরা সবসময় সত্য, ন্যায় ও নৈতিকতার পক্ষে আছি এবং থাকব—ইনশাআল্লাহ।

‎প্রতিবাদকারী
‎মোঃ তারেক আহমেদ
‎ঠিকানা: ইব্রাহিম মিয়া রোড, বাবরি চত্বর, সোনাডাঙ্গা, খুলনা।