০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বর্ণাঢ্য বহিঃপ্রকাশ নতুন বাস্তপুরে

পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবের মাতোয়ারা দামুড়হুদা

"রঙে রাঙা নববর্ষ: মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখর নতুন বাস্তপুরের আকাশ-বাতাস;"ছবি- মিনারুল ইসলাম।

আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ঐতিহ্যের এক অপরূপ সমারোহে দামুড়হুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুরে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব —বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ৮৯ নং নতুন বাস্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯:৩০টায় স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে গ্রাম পরিভ্রমণ শেষে শোভাযাত্রাটি বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গ্রামবাসী, সামাজিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। রঙ-বেরঙের পোশাক, ফেস্টুন, পল্টুন, আর ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক জেসমিন খাতুন, মোছাঃ শারমিন আক্তার, মোঃ ইসমাইল হোসেন এবং গ্রাম্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত, ‘এসো হে বৈশাখ’, দেশাত্মবোধক গান, লোকজ নৃত্য, আবৃত্তি ও রাখি বন্ধনের মাধ্যমে বরণ করা হয় নববর্ষকে।

বক্তারা বলেন, “পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই দিনটি এক মহামিলনের উৎসব। পুরোনো গ্লানি ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার শপথ নেয় গোটা জাতি।”

দিনটি ছিল চেতনার জাগরণ, সম্প্রীতির বার্তা ও ঐতিহ্যকে লালন করার এক অনন্য উদাহরণ।

বাংলাদেশ সকাল/ ইস

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির ন্যায্য দাবিতে মামলা, প্রতিদানে প্রাণনাশের হুমকি!

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বর্ণাঢ্য বহিঃপ্রকাশ নতুন বাস্তপুরে

পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবের মাতোয়ারা দামুড়হুদা

Update Time : ১২:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ঐতিহ্যের এক অপরূপ সমারোহে দামুড়হুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুরে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব —বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ৮৯ নং নতুন বাস্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯:৩০টায় স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে গ্রাম পরিভ্রমণ শেষে শোভাযাত্রাটি বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গ্রামবাসী, সামাজিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। রঙ-বেরঙের পোশাক, ফেস্টুন, পল্টুন, আর ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক জেসমিন খাতুন, মোছাঃ শারমিন আক্তার, মোঃ ইসমাইল হোসেন এবং গ্রাম্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত, ‘এসো হে বৈশাখ’, দেশাত্মবোধক গান, লোকজ নৃত্য, আবৃত্তি ও রাখি বন্ধনের মাধ্যমে বরণ করা হয় নববর্ষকে।

বক্তারা বলেন, “পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই দিনটি এক মহামিলনের উৎসব। পুরোনো গ্লানি ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার শপথ নেয় গোটা জাতি।”

দিনটি ছিল চেতনার জাগরণ, সম্প্রীতির বার্তা ও ঐতিহ্যকে লালন করার এক অনন্য উদাহরণ।

বাংলাদেশ সকাল/ ইস