
সাংবাদিকতা নিছক একটি পেশা নয়—এটি সত্যের অনুসন্ধানে আত্মনিয়োগ করা এক নিঃস্বার্থ ব্রত। এ ব্রতের পথিক যারা, তাদের মধ্য থেকে কিছু মানুষ হয়ে ওঠেন সময়ের সাক্ষী, সমাজের বিবেক। ঠিক তেমনই এক ন্যায়নিষ্ঠ, আদর্শবান ও নির্ভীক সাংবাদিক হলেন মোঃ ইসমাইল হোসেন। তাঁর কলম সত্যের দীপ্ত আলোকশিখা হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
মোঃ ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকতার পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন এক সহজ অথচ গভীর জীবনদর্শন নিয়ে—সত্য উদঘাটন, নিপীড়িতের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা, আর সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা। এই লক্ষ্যকে বুকে ধারণ করেই তিনি এগিয়ে গেছেন নিরন্তর, হয়ে উঠেছেন একজন সম্মানিত সাংবাদিক।
তাঁর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মানুষের না বলা যন্ত্রণা, রাষ্ট্রের গোপন অন্যায়, এবং দুর্নীতির বিব্রত নগ্নতা। ক্ষমতাধরদের চোখে চোখ রেখে তিনি উচ্চারণ করেছেন অপ্রিয় সত্য। বহুবার হুমকি, চাপ ও প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি; কিন্তু তার কলম এক মুহূর্তের জন্যও থেমে যায়নি। বরং আরও দৃঢ়তা নিয়ে নিপীড়িতের পাশে থেকেছেন, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
জাতীয় সীমানা পেরিয়ে তিনি ছুটে গেছেন দুর্যোগকবলিত অঞ্চল, মানবিক বিপর্যয়ের ময়দানে। তাঁর প্রতিবেদনে বিশ্ব দেখেছে অবহেলিত মানুষের মুখ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন তাঁর এই সাহসিকতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির স্বীকৃতি দিয়েছে।
মোঃ ইসমাইল হোসেনের লেখাগুলো শুধু সংবাদ নয়—তা যেন সময়ের দলিল, বিবেকের আয়না। তিনি সংবাদকে ব্যবহার করেছেন সমাজ জাগরণের এক শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে। তাঁর লেখনীতে বারবার উচ্চারিত হয়েছে সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, রাজনৈতিক প্রতারণার উন্মোচন এবং রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচনের আহ্বান।
ব্যক্তিজীবনে তিনি বিনয়ী ও মাটির কাছের মানুষ। সাংবাদিকতার পাশাপাশি কাজ করছেন শিক্ষা প্রসার, শিশু অধিকার, এবং মুক্তচিন্তার বিকাশে। তরুণ সাংবাদিকদের কাছে তিনি শুধুই এক পথপ্রদর্শক নন—তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম।
বিশ্ব গণমাধ্যমে মোঃ ইসমাইল হোসেন এক পরিচিত মুখ। তাঁর বিশ্লেষণী মনন, মানবিক দর্শন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানের জন্য তিনি একাধিকবার জাতীয় সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
যে সময় সত্য বিকিয়ে যায়, সংবাদ হয়ে ওঠে পণ্যের মতো—সেই সময়েও মোঃ ইসমাইল হোসেন এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তিনি প্রমাণ করেছেন, আদর্শ সাংবাদিকতা এখনও সম্ভব, এখনও প্রাসঙ্গিক।
মোঃ ইসমাইল হোসেন শুধুই একজন সাংবাদিক নন, তিনি সময়ের দৃষ্টিপথে এক সাহসী দ্রষ্টা, সমাজ পরিবর্তনের এক নির্ভীক দূত। তাঁর প্রতি আমাদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতা অবিরাম। তাঁর কর্ম, তাঁর সত্যনিষ্ঠতা তাঁকে ইতিহাসে অমর করে রাখবে—নতুন প্রজন্মের জন্য হয়ে থাকবেন অনুপ্রেরণার স্থায়ী বাতিঘর।